অমর একুশে বইমেলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং চরম আত্মত্যাগের কাহিনী মিশে আছে,সাথে মনের আকুতি চোখের ভাষা এবং হৃদয়ের অভিব্যক্তি। বছর ঘুরে এলো বার বার প্রাণে সঞ্চার জাগায় আমাদের আমাদের বই মেলা,যা বিশ্বে মেলার অন্যতমও বটে। অন্যদিকে বইমেলার অন্যতম প্রধান টার্গেট হলো অতীত-বর্তমান আত্মার মনোমুগ্ধকর মিলন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল, গবেষক সৈয়দ মোস্তফা আলী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ অসংখ্য দেশি-বিদেশি কবি-সাহিত্যিকের সুলেখনী জ্ঞানপিপাসু বইপ্রেমীদের চিন্তা ও মননশীলতার পরিধি বাড়িয়ে দেশ-জাতির সম্পদে পরিণত করে । বাড়ছে নবীন লেখক-সাহিত্যিকদের সংখ্যা এবং তাদের প্রকাশনাও । এতদসত্ত্বেও জ্যামিতিক হারে বাড়ছে না বইপড়ুয়াদের সংখ্যা বরং তার হার দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে অবশ্যই কিছু কারণও বিদ্যমান।
সৈয়দ মুজতবা আলী প্রায় ষাট বছর আগে বলে গিয়েছেন, “বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না”।
কিন্তু দামের কারণে কিংবা পড়ার অনাগ্রহ তার হেতু মনে হচ্ছে বই কিনলে আসলেই দেউলিয়া হয়। নতুবা দেশের ষোল কোটি মানুষের জন্য ছাপা হতো না হাজার পাঁচেক টাকার বই।
আমাদের তরুণ সমাজ হাজার হাজার টাকা মোবাইল কিনে, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে এবং সিগারেট ফুঁকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
কিন্তু দামের কারণে কিংবা পড়ার অনাগ্রহ তার হেতু মনে হচ্ছে বই কিনলে আসলেই দেউলিয়া হয়। নতুবা দেশের ষোল কোটি মানুষের জন্য ছাপা হতো না হাজার পাঁচেক টাকার বই।
আমাদের তরুণ সমাজ হাজার হাজার টাকা মোবাইল কিনে, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে এবং সিগারেট ফুঁকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
কখনোবা জড়িয়ে পড়েছেন মদ, জুয়া মাদকের আসরে। তাদের অভিভাবকরা দশ-পনের হাজার টাকার মোবাইল কিনে দেন কিন্তু বইয়ের বেলায় অনেক দাম।
আসলে বই কিনে দেউলিয়া হওয়ার ভয়ে আমরা এখন জাতিগতভাবেই দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি। শিশু-কিশোরদের জন্য ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতা-সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আদলে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে সামাজিক, বিনোদন, শিক্ষামূলক সাহিত্য যেমন: তিন গোয়েন্দা, সাইমুম সিরিজ, সহ কৌতুক, কার্টুন, গল্প, ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস রচনা করা গুরুদায়িত্ব। যারা বলেন তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা সিরিজের শিক্ষণীয় কিছু নেই, তারাই আবার দেধারছে অর্থহীন ও অপসংস্কৃতির সিরিয়াল দেখে দিনাতিপাত করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
আসলে বই কিনে দেউলিয়া হওয়ার ভয়ে আমরা এখন জাতিগতভাবেই দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি। শিশু-কিশোরদের জন্য ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতা-সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আদলে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে সামাজিক, বিনোদন, শিক্ষামূলক সাহিত্য যেমন: তিন গোয়েন্দা, সাইমুম সিরিজ, সহ কৌতুক, কার্টুন, গল্প, ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস রচনা করা গুরুদায়িত্ব। যারা বলেন তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা সিরিজের শিক্ষণীয় কিছু নেই, তারাই আবার দেধারছে অর্থহীন ও অপসংস্কৃতির সিরিয়াল দেখে দিনাতিপাত করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
বই শুধু জ্ঞান নয় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যমও বটে এটা অনেকে মানতে নারাজ। এগুলো নিশ্চিতকরণে দায়িত্ব নিতে হবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলা একাডেমি, দেশ প্রেমিক চিন্তাবিদ, লেখক, বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানীগুণী ,আলেম-ওলামা, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ-যুবকদের। সমাজে খেলার মাঠ বিনোদনকেন্দ্র থাকলেও রয়েছে গ্রন্থাগারের অপর্যাপ্ততা
ফলে ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ প্রজন্ম প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত চাপ, পুরনো ধাঁচের শিক্ষা ব্যবস্থা ও মুখস্থ বিদ্যার ভারে অল্পবয়সেই পড়াশোনার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রন্থাগার দেখাতে পারে ঠিকানা, উদ্বুদ্ধ করতে পারে মানবিক নৈতিক মূল্যবোধের। তাই জ্ঞান, আলো, মুক্তি ও হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য বই শ্রেষ্ঠ বন্ধু এবং নিত্যদিনের সঙ্গী
বইয়ের দাম সুলভ মূল্য নির্ধারণ ও সহজীকরণ এবং মাসে অন্তত একটি বই কেনার সাথে সাথে বাড়ানো যেতে পারে বইপাঠ প্রতিযোগিতা। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও তার আয়োজন করা যেতে পারে। ঘোষণা হতে পারে উৎসাহমূলক পুরস্কার। এই ক্ষেত্রে সচেতন মহল এগিয়ে আসবে বলে মনে করি। দরকার শুধু উদ্যোগ গ্রহণের। হরেক রকমের বই পাঠ নিশ্চিত করে আমরা পেতে পারি মেধাবী, শিক্ষিত জাতি এবং উন্নত, বৈষম্যহীন সোনার বাংলাদেশ। আর মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে হতে পারে সত্য সুন্দর ও আলোকিত পৃথিবীর।
লেখক
এস.এম আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকির
অনার্স তৃতীয় বর্ষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা
অনার্স তৃতীয় বর্ষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা